জন্মদিনের আড়ম্বরতা পছন্দ ছিল না তাঁর। তবু রাত ঠিক ১২টা ১ মিনিটে প্রিয়জন, বন্ধুবান্ধব, সুহৃদদের নিয়ে কেক কাটতেন। রাত গড়িয়ে সকাল হলে ভক্তরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাত প্রিয় লেখককে। এ ছাড়া দিনভর নানা আয়োজন তো থাকতোই। গতকাল ১৩ নভেম্বর ছিলো বাংলা সাহিত্যের জননন্দিত- অসম্ভব গুণী লেখক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন। ১৯৪৮ সালের এই দিনে তিনি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের দৌলতপুর গ্রামে নানাবাড়িতে জন্ম নেন।
১৯৭২ সালে প্রকাশিত হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ পাঠকমহলে হয়েছিল নন্দিত। এরপর তিনি বাংলা শিল্প সাহিত্যকে শুধু সমৃদ্ধ করে গেছেন। সহজ-সরল রসবোধ আর অলৌকিকতার মিশেলে বাংলা কথাসাহিত্যে তাঁর সৃষ্টি হিমু, মিসির আলী, বাকের ভাই, রূপা, শুভ্র চরিত্রগুলো পেয়েছে ‘অমরত্ব’। তাঁর লেখা গানগুলো এখনও মানুষের মুখে মুখে।
২০১২ সালের ১৯ জুলাই মরণব্যাধি ক্যান্সারের কাছে হার মানার আগে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, গীতিকার, নাট্যকার, চলচ্চিত্র পরিচালক- প্রতি ক্ষেত্রেই তিনি ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। আমাদের সৌভাগ্য আমরা হুমায়ূন আহমেদকে পেয়েছি। বাঙালির সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চায় তিনি ছিলেন, আছেন, থাকবেন।
শুভ জন্মদিন প্রিয় লেখক ❤️
তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম
নিবিড় নিভৃত পূর্ণিমা নিশীথিনী সম…..