শীতের বিদায় ঘন্টা বাজছে, ঋতুরাজ বসন্ত কড়া নাড়ছে দরজায়। প্রকৃতি সাজতে শুরু করেছে নতুন ফুল, লতা-পাতায়। গানের কথার মতো ‘ফাগুন লেগেছে বনে বনে’। গাছে গাছে ফুটতে শুরু করেছে নানা রঙের বাহারি ফুল।
বসন্ত মানেই রঙ আর রঙ। ফাল্গুন-চৈত্র দুইমাস বসন্তকাল হলেও পহেলা ফাল্গুনকে ঘিরে বসন্ত বরণে ঘরে বাইরে সব জায়গায় থাকে সাজ সাজ রব। বসন্তদিনের সাজ-পোষাকে থাকে রঙের বিচিত্রতা। ‘ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে বহে কিবা মৃদু বায়’ গানটির ছাপ পড়ে পোশাক নকশা করার ক্ষেত্রেও। চঞ্চল প্রকৃতির চারপাশে যেসব রং খেলা করে, সে রংগুলো থেকেই পোশাকে বসন্তের আবহ তৈরি হয় বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসগুলোতে।
বাসন্তী পোশাকের নকশায় প্রাধান্য পায় ফুল, লতাপাতার বাহার, জ্যামিতিক নকশারও ব্যবহার হয়।
শাড়ী, সালোয়ার কামিজ, কুর্তি, ফ্রক যে যাই পরুক না কেন তাতে থাকা চাই হলুদ, বাসন্তী কিংবা লাল রঙের ছোঁয়া। শুধু নারী নয়, পুরুষের শার্ট, পাঞ্জাবি বা ফতুয়ার ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার কাজ করে। পোশাকে লেমন, কমলা, খয়েরি, কচি কলাপাতা রং ও সবুজের বিভিন্ন শেডও ব্যবহার করা হয়।
ফাল্গুন মানেই হালকা শীতের সাথে মিষ্টি রোদ আর উষ্ণতার ছোয়া। তাই বসন্তের ফ্যাব্রিক হিসেবে সুতি, লিনেন, তাতের কাপড় আর মিডিয়া হিসাবে ব্লকপ্রিন্ট, স্ক্রিন প্রিন্ট, টাইডাই, মোম বাটিক, হ্যান্ড পেইন্টের বিভিন্ন রঙ ও নকশার কারুকাজ দেখা যায়। সময়োপযোগী সাজ-পোশাক নিয়ে সব বয়সীরাই এখন বেশ সচেতন। বসন্ত বরণে ফ্যাশনপ্রেমীদের আগ্রহ, আয়োজনের যেন শেষ নেই। আপনিই বা সেই তালিকা থেকে বাদ পড়বেন কেন!?
বসন্তের রঙের ছোঁয়া লাগুক আপনাদের জীবনে, মনে-প্রাণে।